স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষুধার জ্বালা, রোদ-বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই ২২টি বছর জীর্নকুটিরে কেটেছে স্বামী পরিত্যাক্তা কোরফুলি বেগমের (৬৫) জীবন। অবশেষে তার এ দুরবস্থার অবসান হতে চলছে। দুই সমাজ সেবক নিজস্ব অর্থায়নে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন কোরফুলি বেগমকে। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান প্যাদা কোরফুলি বেগমের ঘর নির্মান কাজের উদ্বোধণ করেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বড়দুলালী গ্রামের। শেষবয়সে মাথার গোঁজার একটু আশ্রয় পেয়ে বেজায় খুশি কোরফুলি বেগম। কোরফুলি বেগমের দুরবস্থা দেখে একই এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম শাহীন এবং বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কোরফুলি বেগমের আশ্রয়স্থল নির্মান করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অসহায় কোরফুলি বেগম জানান, ২২ বছর আগে স্বামীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। উপায়ন্তুর না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়ি বড়দুলালী গ্রামে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিন শতক জমির উপর তার জীর্নকুটির। ক্ষুধার জ্বালা, রোদ বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই কেটেছে তার জীবন। ঝিয়ের কাজ করে ক্ষুধার জ্বালা মিটালেও করোনার মহামারির ছোবলে এখন আর কেউ তাকে কাজ দেয়না। আর কাজ করার মতো শারীরিক অবস্থাও তার নেই।
Leave a Reply